পাগলী বউ (পর্ব – ০৪)
বিয়ে শেষে বউ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে…..
ছেলে: টিসু টা দিয়ে চোখ মছো, আর কান্না করতে হবে না।
মেয়ে: হুম……..
_ কষ্ট পেয়োনা, ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
_ হুম…….
_ তুমি তো এইটাই চেয়ে ছিলে যে আমরা স্বামী স্ত্রী হই, তাহলে এখনো মন খারাপ করে আছো কেনো?
_ হুম…..
_ কি হুম হুম করছো? কিছু তো বোলো।
_ আমি কাঁদছি দেখে খুব আনন্দ পাচ্ছ তাইনা?
_ আনন্দ পাবো কেনো, আমি শুধু বললাম কান্না করোনা।
_ আমি কাঁদবো, আমার ইচ্ছা!
_ আচ্ছা কান্না করো, কিন্তু কান্না করলে যে তোমাকে পত্নীর মতো লাগে তাতো আগে জানতাম না।
_ কি বললি তুই, আমি পেত্নী? তুই ভূত!
_ আমি না, তুই!
_ তুই, তুই…!!!
_ ঠিক আছে আমি ভূত, আবার তো চোখের পানি মোছো।
_ ভালো লাগছে না আমার, কথা বলোনা তো!
_ ওকে, কথা বলবো না, কিন্তু এই চকলেট টা যে কি করি………
_ তুমি চকলেট আনছো! কই দাও!
_ কিন্তু যে কান্না করে তাকে তো আমি চকলেট দেইনা।
_ এখন নাদিলে কিন্তু আরো জারি জোরে কান্না করবো !
_ আরে পাগল নাকি, গাড়িতে আরো মানুষ আছে নাহ, সবাই শুনতে পেলে কি মনে করবে।
_ তুমি যে কখন থেকে এত কথা বলছো, তারা কিছু মনে করছে না?
_ আমরা তো ফিস ফিস করে বলছি, কেউ শুনতে পাচ্ছেনা।
_ হুম, বুঝতে পারছি তো, এইবার আমার চকলেট দাওয় !
_ নাওয়, তাও আর ঝগড়া করোনা!
_ কি আমি ঝগড়া করি?
_ নাহ মানে, কান্না করোনা!
_ ফাজিল, শয়তান, কুত্তা, তুই বাড়িতে চল তারপর তোর মজা দেখাবো।
_ কেনো? বাড়িতে গেলে কি হবে?
_ কিছু না!
_ ওহ… বউ সেজে নাহ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে!
_ কিভাবে দেখলে? গাড়ি তো অন্ধকার।
_ আরে…. না দেখেও বোঝা যাচ্ছে!
_ যাহ কুত্তা! জানি, আর বলতে হবে না।
_ কি জানো তুমি?
_ আমি জানি তুমি এইগুলা আমার মন রাখার জন্য বলতেছে।
_ বাহ্….. তুমি তো অনেক ভালো বুঝতে পারো!
_ হারামি….. তুই আমার পাশেই বসবিনা, দূরে যা কুত্তা!
_ নাহ রে.. সত্যি বলছি তোমাকে অনেক সুন্দর লাকছে!
_ ফাজলামি করোনা তো, এমনিতেই আব্বু আম্মু কে ছেড়ে আসছি, অনেক কষ্ট হচ্ছে!
_ কষ্ট পেয়োনা বাবু! আমি তো আছি।
_ ঘোড়ার ডিম আছো !
_ আমার পাগলী বউ! রাগ করেনা, আমার কাঁধে মাথা দিয়ে থাকো!
_ হুম, তোমার হাত টা দাওয়।